লোভে পাপ পাপে মৃত্যু, মূল বার্তা এটাই
কাস্ট: গাল গাদো, ক্রিস পাইন, ক্রিস্টেন উইগ, পেদ্রো পাস্কাল, কোনি নিয়েলসন
পরিচালক: প্যাটি জেনকিন্স
রেটিং: 3.5/5
কতটা পেলে তুমি সন্তুষ্ট হবে? বেশিরভাগ মানুষ এ প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারবেন না। কারণ প্রত্যাশা, চাওয়া-পাওয়ার সমীকরণ একটা সময় লোভে পরিণত হয়। আর লোভের কোনও সীমা থাকে না। আরও চাই, আরও চাইয়ের দৌড়ে তা ক্রমশ জীবনের বাকি সব অনুভূতিকে গ্রাস করতে থাকে। এটাই চরম বাস্তব। কবি তো কবেই বলে গিয়েছেন, ‘এ জগতে হায় সেই বেশি চায়...’।
কিন্তু যার কিছুই নেই, এমনকী আত্মবিশ্বাসটাও ঠিকমতো মনের জমি খুঁজে পায় না, তিনি যদি হঠাৎ করে অনেক কিছু পেয়ে যান, তবে তা আঁকড়ে ধরেই বাঁচতে চান। সেখানে যদি ঈশ্বরের বিরুদ্ধেও তাঁকে লড়তে হয়, তিনি লড়বেন। এমনই একজন ব্যক্তিত্ব বারবারা মিনার্ভা (ক্রিস্টেন উইগ)। তবে জীবন যদি আপনাকে কিছু দেয়, আপনার থেকে কড়ায়-গন্ডায় তার সমপরিমাণ কেড়েও নেয়। জীবনের এই দাঁড়িপাল্লার মাপের উপরই দাঁড়িয়ে রয়েছে জগৎ।
এ নিয়মের কোনও অন্যথা হয় না। নিয়ম পাল্টাতে গেলেই আসে সর্বনাশ। এই সর্বনাশা খেলায় মেতে গোটা বিশ্বকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছিলেন ম্যাক্সওয়েল লর্ড (পেদ্রো পাস্কাল)। যে খেলার অংশ হয়ে যান স্বয়ং ডায়ানা প্রিন্স, যাকে আমরা ওয়ান্ডার উওম্যান (গাল গাদো) নামেই চিনি। মৃত মনের মানুষকে ফিরে পাওয়ার আকাঙ্খায় যুক্তি-বুদ্ধিকে বিসর্জন দিয়ে হারাতে বসেছিলেন নিজের সবচেয়ে বড় মূলধন। নিজের শক্তি, অক্ষয় যৌবন। অন্য দিকে, হঠাৎ করে অসীম ক্ষমতা পেয়ে মনুষ্যত্ব হারাতে বসেন বারবারা। নিজের অসীম ক্ষমতাকে ধরে রাখতে মারণ খেলায় ম্যাক্সওয়েলের ‘গার্ডিয়ান অ্যাঞ্জেল’ হয়ে দেখা দেন তিনি। এই টানাপোড়েনে যে পরিস্থিতি তৈরি হয় তা গোটা বিশ্বকে ধ্বংস করার জন্য যথেষ্ট। এর থেকেই কী ভাবে পরিত্রাণ পান সকলে তা নিয়েই সিনেমা।
সুপারহিরোদের কি কোনও শখ-আহ্লাদ থাকতে নেই? তাঁরা কি কেবল মানবজাতির কল্যাণে গোটা জীবন উৎসর্গ করতেই ধরাধামে অবতীর্ণ হন? না, একেবারেই না। ঐশ্বরিক ক্ষমতার অধিকারী হলেও সুপারহিরোদের জীবনে প্রেম ঘুরে ফিরে এসেছে। ডি সি কমিক্সের সবচেয়ে জনপ্রিয় দুই সুপারহিরো ব্যাটম্যান এবং সুপারম্যানের জীবনে মনের মানুষ রয়েছেন। একই ভাবে ‘ওয়ান্ডার উওম্যান’ সিনেমায় ডায়ানার মনের মানুষ হিসাবে স্টিভ ট্রেভর (ক্রিস পাইন) ছিলেন। কিন্তু একবার যে হারিয়ে যায় তাকে আঁকড়ে ধরা যায় না। তিনি অনন্ত ক্ষমতার অধিকারী হলেও আঁকড়ে ধরতে পারবেন না। এই বার্তাটি সিনেমায় খুব ভালো ভাবে দিয়েছেন পরিচালক প্যাটি জেনকিন্স।
সুপারহিরো মুভিতে স্পেশাল এফেক্ট সবচেয়ে বড় সাপোর্টিং চরিত্র হিসাবে কাজ করে। এ সিনেমাতেও তার অন্যথা হয়নি। সিনেমাটি একটু বেশি সময়ের, ফলে অনেকেই দেখতে গিয়ে সামান্য বোর হতে পারেন। তবে মনের কদর্য, কালো দিকটা এত প্রকট ভাবে স্ক্রিনে দেখে যদি সকলের সম্বিত ফেরে তা হলে মঙ্গল।
সবার শেষে একটাই কথা বলার, যদি দুঃখ না থাকে, তবে সুখও পানসে লাগবে, তাই না। তাই সব নিয়েই বাঁচতে শিখুন। বলতে শিখুন, ‘যাক, যা গেছে তা যাক...’।
মাননীয় হঠাৎ আটের আস্ফালন ছেড়ে ৯-এর ঘাড়ে চড়ে বসলেন কেন? কারণ নিশ্চয়ই আছে।
আন্দোলনও হল, আবার চিনকে রামচিমটিও দেওয়া হল। বেশি কথা বলতে এলে পরিষ্কার বলে দাও, আমরা তোদের পকেটে নিয়
বৃহস্পতিবার দুপুরে “রামের নামে” ফের চলল গুলি। ৭২ বছর পরেও যে নাথুরাম গডসে জীবিত রয়েছে
বিরাট অর্থনৈতিক ক্ষতে আপাতত মলমের কাজ করছে ওয়ার্ক ফর্ম হোম।
যদি আপনি কোনও প্রোডাক্টের বিনিময়ে মূল্য না দেন, তবে আপনি নিজেই সেই প্রোডাক্ট।
টানা কয়েক দিন গুমরে থাকার পর বাবার সামনে কান্নায় ভেঙে পড়ল অমিত।